News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২৮ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১৫:১৮, ৬ নভেম্বর ২০২০

বগলের গন্ধ শুঁকে রোজগার!

বগলের গন্ধ শুঁকে রোজগার!

আন্ডার আর্ম স্মেল বা বগলের গন্ধ, কথাটা অনেকের কাছে কিছুটা অরুচিকর লাগতে পারে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু ভিন্ন পেশার কিছু মানুষ আছেন যারা, বগলের গন্ধ শুঁকেই উপার্জন করে মোটা অর্থ। ডিওডোরেন্ট টেস্টার বা সুগন্ধী পরীক্ষকরা সেই কাজটিই দক্ষতার সাথে করে থাকেন।

সম্প্রতি জানা গেছে, একজন অভিজ্ঞ ডিওডোরেন্ট টেস্টারের মাসিক আয় অনেক কর্পোরেট অফিসের উচ্চ পদস্থ কর্মীদের থেকেও বহুগুনে বেশী! তাদের কাজ কিছুটা টি-টেস্টার বা চা এর স্বাদ পরীক্ষকদের মতই। বিভিন্ন ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম তৈরির প্রতিষ্ঠান এ কাজের জন্য তাদের চাকরি দেয়। একটা সুগন্ধির ভাল দিক-খারাপ দিক কিংবা বাজারে সেটা কতটা চলবে সে সব বিষয়গুলো মুলত তাদের উপরেই নির্ভর করে। তাই তাদের চাহিদা এবং বেতন দুটোই অনেক বেশী।

প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষের বগল বা শরীরে লাগানো ডিওডোরেন্টের গন্ধ শোঁকা এবং তথ্য তালিকা তৈরি করা তাদের আসল কাজ। এজন্য প্রথমেই তাদের শুঁকতে হয় সাধারন অবস্থায় থাকা বগলের দুর্গন্ধ। তারপর বগলে সাবান লাগিয়ে পরিষ্কার করার পর আবার শুঁকতে হয় তা। সবশেষে ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম লাগানোর পর আবার বগলের গন্ধ নিতে হয়। তারপর তৈরী করেন একটি তথ্য তালিকা। যার উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে প্রয়োজন হয় তীক্ষ্ণ ঘ্রাণ শক্তি এবং সুগন্ধি সম্পর্কে যথেষ্ট পড়াশোনা। আর মানুষের বগলের দুর্গন্ধ শোঁকার মত যথেষ্ট সাহস।

নিউজবাংলাদেশ.কম/আরবিএস/এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়