রাকিব হত্যা: ৩ দিনের রিমান্ডে বিউটি বেগম
খুলনা: শিশুশ্রমিক রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি মোটর ওয়ার্কশপ মালিকের মা বিউটি বেগমের (৪৮) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় খুলনা মহানগর হাকিম ফারুক ইকবালের আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। শুনানিতে বিউটি বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নেয়নি।
এর আগে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। বিউটি বেগম মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফের মা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বিউটি বেগমকে জেলা কারাগার থেকে মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
রিমান্ড শুনানির সময় বাদীপক্ষে আদালতে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থাসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিউটি বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়নি।
উল্লেখ্য, ২ আগস্ট বিকেলে নগরীর টুটপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন শরীফ মটরস নামক একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মধ্যে কিশোর রাকিবের পেটে কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন রাকিবের পিতা নূরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার মা বিউটি বেগম ও সহযোগী মিন্টু খানকে আসামি করে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তিন আসামিকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে শরীফ ও মিন্টু গণপিটুনির শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন করেনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সুস্থ হলে তাদেরকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জানা গেছে, রাকিব কিছু দিন আগে টুটপাড়া কবরখানা মোড়ের শরীফ মোটরসে কাজ করত। কিন্তু মালিকের নির্যাতনের কারণে সে আরেক গ্যারেজে গিয়ে কাজ নেয়।
সোমবার বিকেলে রাস্তা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় শরীফ মটরসের মালিক ওমর শরিফ। এরপর সাইকেল ও মোটরসাইকেলের টায়ারে হাওয়া দেওয়ার কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে রাকিবের মলদ্বারে হাওয়া দেয়া হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায় রাকিব।
এ ঘটনার পরপরই শরীফ মোটরসের মালিক শরীফ, শরীফের মা বিউটি বেগম ও গ্যারেজ কর্মচারী মিন্টু মিয়াকে গণপিটুনি দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এরপর পুলিশ তাদের আটক করে।
গণপিটুনিতে আহত মিন্টু ও শরীফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। আর বিউটি বেগমকে রাখা হয় থানা হাজতে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








