News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৫ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১১:৫৭, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মানবতা বিরোধী অপরাধ

বাগেরহাটের ২ রাজাকারের রায় ১১ আগস্ট

বাগেরহাটের ২ রাজাকারের রায় ১১ আগস্ট

ঢাকা: বাগেরহাটের সিরাজ মাস্টার ও খান আকরাম হোসেনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

এ মামলার তিন আসামির মধ্যে আব্দুল লতিফ তালুকদার ২৮ জুলাই কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।

উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২৩ জুন মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় ১৫, ১৭ ও ২৩ জুন প্রসিকিউশন পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও মোশফেক কবির। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ১৭ ও ২১ জুন সিরাজ মাস্টারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসান এবং খান আকরাম হোসেন ও লতিফ তালুকদারের পক্ষে ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন যুক্তিতর্ক পেশ করেন।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনসহ ৩২ জন সাক্ষি প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ সাক্ষিদের জেরা করে। এর পর ৬, ৭ ও ২১ এপ্রিল আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন পাঁচজন সাফাই সাক্ষী। প্রসিকিউশন সাক্ষিদের জেরা করে।

গত বছরের ৫ নভেম্বর রাজাকার কমান্ডার ‘বাগেরহাটের কসাই’ নামে কুখ্যাত রাজাকার সিরাজ মাস্টার এবং তার দুই সহযোগী লতিফ তালুকদার ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংগঠিত সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচটি এবং আব্দুল লতিফ ও খান আকরামের বিরুদ্ধে তিনটি করে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের শাঁখারিকাঠি বাজার, রণজিৎপুর, ডাকরা ও কান্দাপাড়া গণহত্যাসহ আট শতাধিক মানুষকে হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর ২০০৯ সালে নিমাই চন্দ্র দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ তিন আসামিসহ ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের আদালতে একটি মামলাটি দায়ের করেন। বাগেরহাটের আদালত এ মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তদন্তকারী টিম প্রতিবেদন দাখিল করে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ২০ মামলায় ২২ আসামির বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নয়টি ও ট্রাইব্যুনাল-২-এ ১১টি মামলার রায় ঘোঘণা করা হয়েছে।

তিন রাজাকার শেখ সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার, আব্দুল লতিফ ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় রায় হবে ট্রাইব্যুনালের ২১ তম ও ট্রাইব্যুনাল-১এর ১০ম রায়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএম/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়