News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ৫ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০১:১০, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

গ্যাটকো মামলা

খালেদার রিট খারিজ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

খালেদার রিট খারিজ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়েরের বৈধতা ও দুদক আইনের ধারা, বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুমাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ১৭ জুন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলা সংক্রান্ত দুটি রিট আদেশের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন আদালত। এর পর আদেশের জন্য ৫ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

সাত বছর আগে খালেদা জিয়া গ্যাটকো মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দুটি দায়ের করেছিলেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরদিন খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে।

এর পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

এর পর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও কোকো।

এর তিন দিন পরই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাই কোর্ট। মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা কেন ‘বেআইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। তবে হাই কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ পরে আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়।

দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। তার ওই আবেদনে হাই কোর্ট আবারো মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর চলতি বছর দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয়। দুদক হাই কোর্টের ওই রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানির আবেদন করলে গত ১৯ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামীও এ মামলার আসামি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএম/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়