আদালতে জনকণ্ঠের সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছেন জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তারা আদালতে আসেন।
সম্প্রতি জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কলামকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় এ দু’জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন বিচারক। ওই কলাম প্রকাশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়েছেন তারা।
চলতি মাসের ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা।। পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে কলামটি লিখেছিলেন জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
এ কলামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ২৯ জুলাই তাদেরকে তলব করেন আপিল বিভাগ।
বুধবার যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বুধবার ওই কলামের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা কি এ ধরনের কোনও কলাম পড়েছেন। পড়ে থাকলে তা আদালতের নজরে আনেননি কেন?’
ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠে। যাতে বিচার বিভাগ সম্পর্কে কুৎসা রটনামূলক লেখা হয়েছে। এটা আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। এ কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সুয়োমোটো রুল জারি করেছেন। এবং ৩ আগস্ট সম্পাদক-প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাকা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে বিচারপতিদের বৈঠক হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এটি সত্যি হলে রুল জারি হতো না।
জনকণ্ঠের ওই কলামের এক পর্যায়ে বলা হয়, ‘৭১’র অন্যতম নৃশংস খুনী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালী রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপীল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোন বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/আইএ/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম








