এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
তেহরান-মস্কো সমঝোতাপত্র সই
ইরানকে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র বা এমওইউ সই করেছে তেহরান-মস্কো। রুশ ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কর্পোরেশন বা এফএসভিটিএস-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে প্রেসটিভি।
তবে নতুন এ চুক্তিতে এস-৩০০ সরবরাহের সময়সীমা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। একই সঙ্গে কয়টি এস-৩০০ সরবরাহ করা হবে বা সরবরাহকৃত এস-৩০০-এর দাম কত হবে তাও ঠিক করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
অবশ্য এ ব্যাপারে তেহরান এখনও কিছু বলেনি।
এদিকে, চলতি মাসের ১৮ তারিখে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসাইন দেকান বলেছেন, রাশিয়া থেকে এস-৩০০-এর উন্নত সংস্করণ পাবে তেহরান। রুশ নির্মিত এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শিগগিরই সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইরানের কাছে হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হওয়ায় কিছুদিন আগে তেহরান মস্কোর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। পরে এ মামলা তুলে নিতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানায় রাশিয়া।
তখন রুশ সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছিল, ইরানকে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা নিয়ে তেহরান ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা চরলেও ওই মামলা নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। ইরান বলেছিল, এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান পাওয়ার পর তারা মামলা তুলে নেবে। কিন্তু রাশিয়ার দাবি ছিল, নতুন চুক্তির আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আগেই ইরানকে মামলা তুলে নিতে হবে।
২০০৭ সালে সই করা এক চুক্তির আওতায় রাশিয়া ইরানকে ৮০ কোটি ডলার মূল্যের পাঁচ ব্যাটালিয়ন এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়া এস-৩০০ সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকে। এ ঘটনায় ইরান আন্তর্জাতিক নালিশ আদালতে মামলা করে। ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের লোজানে শহরে পরমাণু ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পর গত ১৩ এপ্রিল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানকে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়ে এক রাষ্ট্রীয় ডিক্রি জারি করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম








