ভারত সরকার ও নাগা বিদ্রোহীদের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি
এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) এর ইসাক-মুইভাহ গ্রুপের সঙ্গে ভারত সরকারের শান্তি চুক্তি হয়েছে । এর মধ্য দিয়ে ছদশকের রক্তপাতের অবসান হতে চলেছে।
সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও এনএসসিএনের (আই-এম) প্রধান থুইংগালাং মুইভার উপস্থিতিতে শান্তিচুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন রেস কোর্স রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে চুক্তি সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা এবং এনএসসিএন (আই-এম) প্রধান থুইংগালাং মুইভা এবং গ্রুপের অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। মোদি বলেন, নাগাল্যান্ডের রাজনৈতিক এই ইস্যুটি ছয় দশক ধরে ঝুলে ছিল। এ সময়ে আমাদের কয়েক প্রজন্মকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।
মোদি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠা চেষ্টায় মহান নাগার লোকজনের অসাধারণ সমর্থনের জন্য আমি তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গভীর। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কারণে আমি অনেকবার নাগাল্যান্ড গিয়েছি। আমি তাঁদের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতি এবং অনন্য জীবনধারা দেখে মুগ্ধ।”
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যক্রমে নাগার সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ সময় লাগল। কারণ আমরা একে অপরকে বুঝতে পারিনি। নাগাবাসীর সাহস ও প্রতিশ্রুতি অনবদ্য। সমানভাবে তাঁরা সর্বোচ্চ মানবতাবোধও দেখিয়েছে।”
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মুইভা বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি নাগা লোকজনের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদির অধীনে আমরা একে অপরকে বুঝতে পেরেছি এবং দুপক্ষের মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।নাগাবাসী আজীবন তাকে ও তার পদক্ষেপকে মনে রাখবে।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








