অবশেষে মাদরাসা ছাত্র ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার
গ্রেফতার মাদরাসা শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ। ছবি: নিউজবাংলাদেশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদরাসার ১১ বছরের ছাত্রকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্ততে জামালপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাদরাসা শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ পাবনার চাটমোহরের ধানবিলা গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রকে নানা কাজের অজুহাতে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদরাসার শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ গভীর রাতে ঘুমন্ত শিশুদের নানা অজুহাতে তার কক্ষে নিয়ে যেতেন। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকেও একাধিকবার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নানা যৌন নিপীড়নমূলক কাজে বাধ্য করেন। পরে গত ২৪ জুলাই শিশুকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ।
আর এই বিষয়টি অন্য সহপাঠীদের কাছে জানালে বর্বরোচিত ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসলে জামিয়া আরফান আলী মহিলা মাদরাসার পরিচালক ও ইসলামী আন্দোলন ভূঞাপুর উপজেলার সভাপতির মুফতি আসাদুজ্জামান শামীমের নেতৃত্বে এক একটি প্রভাবশালী মহল সালিসি বৈঠকের নামে মোটা অর্থের বিনিময় ও পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভুক্তভোগীর অভিভাবকের স্বাক্ষর করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। এমনকি, ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের মব সৃষ্টি করে শায়েস্তার হুমকি দেন ওই প্রভাবশালী মহল।
এর আগে এ বিষয়ে সংবাদ ও ভিডিও প্রকাশ করে নিউজবাংলাদেশ। ওই ভিডিওতে যুক্তরাজ্য বিএনপির এক সভায় ভুয়াপুরে মাদরাসা শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন ও এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে শালিসি বৈঠককারী বিএনপির স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে বিএনপির কেউ পার পাবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
আরও পড়ুন: ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
এ ঘটনায় ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে হয় মাইকিং বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
মামলা ও আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে জামালপুর থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত যৌন নির্যাতনের বিষয়টি শিকার করেছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহকে আটক করতে পুলিশ তৎপরতা চালালেও মোবাইল ব্যবহার না করে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করায় আটক করতে বেগ পেতে হয় বলে দাবি করেন তিনি৷
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যেহেতু অপরাধটি সালিশযোগ্য অপরাধ নয় তাই সালিসি বৈঠকে কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








