প্রেসক্লাবে গুম দিবসের অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম দিবসের একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই অনুষ্ঠান করতে পারেনি মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অধিকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গুম বা অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে রোববার তাদের একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে বাতিল করে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

শেষ মুহূর্তে অনুমতি বাতিল করায় নতুন অনুষ্ঠানস্থল না পাওয়ায় পুরো আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ‘অধিকার’।

সংস্থার সভাপতি সি আর আবরার বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী এক মাস আগেই লিখিত অনুমতি নেওয়া হয় এবং ভাড়া পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই প্রেসক্লাব জানায়, তারা রোববারের এই অনুষ্ঠান সেখানে আয়োজন করতে দেবে না।”

এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান বলেছেন, “নিজস্ব কর্মসূচি থাকায় ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।”

জানা গেছে, অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার কথা ছিল।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিকার জানায়, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদেরও কয়েকদিন ধরে টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার জন্য।

শনিবার বিকেলে ‘ওয়াকি-টকি বহনকারী সাদা পোশাক পরা দুই ব্যক্তি’ অধিকার কার্যালয়ে গিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের খোঁজ করেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে গত দশ বছরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ‘বন্দুক-যুদ্ধে’ প্রায় দু হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু ছাড়াও বহু মানুষ গুম হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আড়াই বছরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৭৭ জনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে এখনো ১১০ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। তাদের বেশিরভাগকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে