আ.লীগ কাউন্সিলর ‘ময়নুলে’র চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা
ঢাকা: রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটের দেড় সহস্রাধিক দোকানের মালিক-ব্যবসায়ী কাউন্সিলর ময়নুল ও তার বাহিনীর চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার। তারা এ থেকে রেহাই চান। অন্যথায়, ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা তাদের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। এতে রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কের্টের শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেন, রাজধানীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা ময়নুল হক মঞ্জুরের চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার দাবি জানিয়েছেন টিকাটুলির রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, চার বছর ধরে মার্কেটের কমিটি দখল করে নানা কৌশলে চাঁদাবাজি করে আসছেন ময়নুল। কেউ চাঁদা না দিলে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয় এবং তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অবশ্য এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা ময়নুল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য পরিচয় দিয়ে তিনি নিজেকে ওই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেও দাবি করেন।
এদিকে, চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গত বুধবার রাতে রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটের আট ব্যবসায়ী ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এছাড়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তারা আলাদা জিডিও করেন।
ব্যবসায়ীদের করা জিডিতে বলা হয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অবৈধ সভাপতি। তিনি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে চার বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরীহ ব্যবসায়ীরা নীরবে চাঁদা দিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ীরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। কিন্তু চাঁদাবাজি ও জুলুমের মাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করা শুরু করেন।
পাঁচজন ব্যবসায়ী তাদের জিডিতে বলেছেন, ২২ আগস্ট দুপুরে ময়নুল হক নিজে মার্কেটের সামনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন ও ব্যবসা করতে দেবেন না বলে ভয়ভীতিও দেখান।
কেউ প্রতিবাদ করলে ময়নুলের লোকজন তাকে সমিতির কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন বলেও একজন ব্যবসায়ী তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








