News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ২৮ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১৬:৪০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

সর্বহারা গ্রুপ সীমান্তে সংগঠিত হচ্ছে

সর্বহারা গ্রুপ সীমান্তে সংগঠিত হচ্ছে

রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া-শিলমাড়িয়া ও নাটোর জেলার নলডাঙ্গার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে বিচ্ছিন্ন সর্বহারা গ্রুপগুলো আবারও একত্র হচ্ছে। অনেক তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী জেলের সাজা খেটে বেরিয়ে এসে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের দলীয় কর্যক্রম ও প্রশিক্ষণ শুরু করার খবর পাওয়া গেছে।

দুই জেলার সীমান্তবর্তী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় থানা পুলিশ সঠিক নজরদারি করছেন না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন।

পুঠিয়া থানা পুলিশ সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট বিকেলে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের যশোপাড়া গ্রামের মহাশ্মশানের পাশে ওই সর্বহারাদের ব্যবহৃত একটি সাটারগানসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। এতে স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিগত সময়ে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা, পুঠিয়া ও নাটোর জেলার নলডাঙ্গা এলাকা এবং নওগাঁ জেলার আত্রাই-রানীনগর এলাকার সীমান্তে বিভিন্ন সর্বহারা গ্রুপের নামে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সে সময় সর্বহারা, জনযুদ্ধ (লাল পতাকা), বাংলা ভাইসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও প্রভাব বিস্তারের কারণে অতিষ্ঠ ছিল স্থানীয় জনগণ। পরে বিভিন্নমুখি তদারকিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসীদের আটক করে। আবার অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে বিভিন্ন গোপন স্থানে পালিয়ে আত্মগোপন করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু গ্রামবাসী নিউজবাংলাদেশকে জানান, এলাকাটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এবং পুলিশের নজরদারি না থাকায় কিছু সন্ত্রাসী জেলের সাজা খেটে এই গ্রাম গুলোতে বিচরণ শুরু করেছে। এই সব সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ভাসমান এবং অপরিচিত লোকজন প্রতিদিন বিকেল থেকেই স্থানীয় কিছু আম বাগান ও স্কুল মাঠে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ সকল সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম বন্ধ করতে শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বাধ্য হয়ে গত ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তার অভাব দেখা দিলে শিলমাড়িয়ার সাধনপুর ও সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের হোসেনের বটতলায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

পুঠিয়া থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাদেশকে জানান, গত ২২ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শিলমাড়িয়ার যশোপাড়া গ্রামের মহাশ্মশানের পাশে একটি সাটারগানসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন পরিত্যাক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে নিউজবাংলাদেশকে জানান, ওই এলাকায় সর্বহারার কোনো গ্রুপ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগছে কে বা কারা এই অস্ত্র গুলো রেখেছিল।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিওিতে ওসি আরও বলেন, যদি এমন কোনো গ্রুপ আসলেই থেকে থাকে। তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবো।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়