News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৮ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০৯:১৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

ভেঙে গেছে কুশিয়ারা নদীর ডাইক, প্লাবিত ৪ ইউনিয়ন

ভেঙে গেছে কুশিয়ারা নদীর ডাইক, প্লাবিত ৪ ইউনিয়ন

সিলেট: জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি ডাইক। তলিয়ে গেছে বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়কের সিংহভাগ। ডুবে গেছে নদী সংলগ্ন স্থানীয় কয়েকটি বাজার।

এ অবস্থায় বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েকশো একর জমির ধানের চারা। কয়েকটি মৎস্য খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে কুশিয়ারা নদীর ওই ডাইকের মেরামত করে অকাল বন্যার হাত থেকে বিয়ানীবাজারবাসীকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছিল।

কুড়ার বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলকাছ আলী নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমার এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। কইর বন্দ, খশিরবন্দ জয়নগর, হাতিটিলা ও দেউলগ্রামসহ ইউপির নদী তীরবর্তী প্রায় সব গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।”

শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আখতার খান জাহেদ নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমার এলাকায় প্রায় দুশো পরিবার এখন পানিবন্দি। দত্তগ্রাম, ঢেউনগর, দিলবাগ, গুচ্ছগ্রাম, কোনা শালেশ্বর, চারাবই ও তেরাদলসহ সকল গ্রাম তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামে এখনো পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি।”

দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম দাদাভাই নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমার এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা তলিয়ে গেছে।”

মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমার এলাকায় প্রায় দুশো পরিবার এ মুহূর্তে পানিবন্দি রয়েছে।”

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “গতকাল আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এর মধ্যে বর্ষা মৌসুমে মানুষের দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না। কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে নদী তীরবর্তী গ্রাগুলোতে বন্যার সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।”

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বিকেল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে বলা হয়েছে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়