নিলয় হত্যায় গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড
ঢাকা: ব্লগার নিলয় নীল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার কাউছার হোসেন খান (২৯) ও কামাল হোসেন সরদারকে (২৯) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুরে তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে কাউছারকে মিরপুর ১০ নম্বর এবং কামালকে শ্যামপুরের ধোলাইপাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ডিবি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালে আসিফ মহীউদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কাউছার ও কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানের বাসায় ঢুকে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে (নিলয় নীল) কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত ঘাতক দল। এ ঘটনায় ব্লগারের স্ত্রী আশা মণি অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই হত্যার দায় স্বীকার করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেয় আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার-আল-ইসলাম নামে একটি সংগঠন।
তবে পুলিশের ধারণা, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এর আগে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডিবির উপকমিশনার (পূর্ব) মাহবুব আলম জানান, এর আগে নীলাদ্রি হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকতে পারে এমন ছয়জনের নাম পাওয়া যায়। এদের অন্যতম কাউসার ও কামাল সরদার।
তদন্ত সূত্র জানায়, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। গ্রেফতার হওয়া চারজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। নীলাদ্রি হত্যায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা রেদোয়ানুল আজাদ রানাসহ সন্দেহভাজন হিসেবে নাম আসা বাকি চারজন ধরা পড়লে হত্যাকাণ্ডের পটভূমি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।
তবে রিমান্ডে নাহিয়ান ও মাসুদ রানা নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানায় ডিবি সূত্র।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম








