News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৮ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০০:২১, ২০ জানুয়ারি ২০২০

দেড় লাখ টাকা পেয়েও ফেরত ইজিবাইক চালকের

দেড় লাখ টাকা পেয়েও ফেরত ইজিবাইক চালকের

নড়াইল: সামান্য কিছু টাকার জন্য যে সমাজে মানুষ খুন হয়, সেখানে এমন নজিরকে বিরলই বলতে হয়। প্রায় দেড় লাখ টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েও তা ফেরত দিয়েছেন স্বপন গাজী নামে এক ইজিবাইক চালক। শুক্রবার সকালে নড়াইলের আলাদাতপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ইজিবাইক চালক স্বপন একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী যুবক। জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারের পিছনে বড়াশুলা গ্রামের বর্গাচাষি আলী মোস্তফার ছেলে তিনি। তার মা সূর্যবান নড়াইল শহরে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। স্বপন ভাড়ায় ইজিবাইক চালান।

স্বপন গাজী নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইজিবাইক চালিয়ে রূপগঞ্জ থেকে ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম। আলাদাতপুর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেল আমাকে পেরিয়ে যায়। এসময় ঝাঁকুনিতে মোটরসাইকেল আরোহীর পকেট থেকে টাকার বান্ডিলটি পড়ে যায়। আমি চিৎকার করে ডাকলেও তিনি শুনতে না পেয়ে চলে যান। এরপর বান্ডিলটি নিয়ে আমি লোকটিকে অনেক খোঁজাখুজি করি। কিন্তু তাকে না-পেয়ে আমার পরিচিত সাথী তালুকদারকে বিষয়টি জানাই।”

স্বপন বলেন, “এরপর আমরা দুজন মিলে টাকার মালিককে খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কাছে আমরা তার সন্ধান পাই। তিনি ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালক সৈয়দ আব্দুল্লাহ।”

তিনি বলেন, “এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে কুড়িয়ে পাওয়া এক লাখ ৩০ হাজার টাকা আব্দুল্লাহর হাতে তুলে দিই।”

স্বপন আরো বলেন, “যার টাকা তারে ফিরায় দিতে পেরে আমি খুশি। ও টাকা তো আমার না, আমি রাখব ক্যান? টাকা কুড়ায় পাওয়ার পর স্থানীয় একজন আমারে খুব চাপ দেয় দুজনে মিলে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তার কথা না শুনলি আমারে মারপিট করারও হুমকি দেয়।”

তিনি বলেন, “কিন্তু আমি ভয় পাই নাই। আমারে গুলি করলেও এ টাকা আমি ভাগাভাগি করতাম না। আমার পরের টাকার দরকার নাই। ভাড়ার ইজিবাইক চালায় যা আয় হয় আমি তাতেই খুশি।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস/এফই/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়