‘যখন দেখবেন প্রচুর অনাবাদী জমি, বুঝবেন আপনি সিলেটে’
হবিগঞ্জ: যখন দেখবেন প্রচুর অনাবাদী জমি, তখন বুঝবেন এটি সিলেট, আপনি সিলেটের কোথাও রয়েছেন। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনাবাদী জমি বৃহত্তর সিলেটে। জমি মালিকদের অধিকাংশ প্রবাসী হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা না থাকায় সিলেটের অধিকাংশ ভূমিই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। এই জমিগুলোকে চাষের আওতায় আনলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ফসল রফতানি করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কোর কমিটির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, শুকনো মওসুমে সিলেট বিভাগে একলাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি অব্যবহৃত থাকে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে অব্যবহৃত থাকে ৩৩ হাজার ৫৯৫ একর জমি। সিলেট বিভাগে খরিপ-১ মওসুমে জমি পতিত থাকে একলাখ ৮১ হাজার হেক্টর এবং খরিপ-২ মওসুমে পতিত থাকে ৭১ হাজার হেক্টর জমি। এসব অব্যবহৃত জমিকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী জেলার ১৫টি ইউনিয়নে পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জেলার অব্যবহৃত জমির ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি জনগণকে অনাবাদী জমি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সাদির হোসেন। বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান, এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আদিনাথ ঘোষ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূর হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সায়েদুল হোসেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম








