News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৬ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০৬:৩৯, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু

সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ: এরশাদ

সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ: এরশাদ

ঢাকা: মাগুরায় ক্ষমতাসীন দলের দুপক্ষের সংঘর্ষে মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সরকারকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলিবিদ্ধ শিশু ও মাকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

এরশাদ দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে তার দলীয় নেতাদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান।

এসময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিএম কাদের, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু, শ্রমিক পার্টির সভাপতি শাহ আলম, যুবসংহতির সভাপিত রেজাউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরশাদ প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানের কক্ষে যান। এসময় পরিচালক তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে এরশাদ হাসপাতালের এনআইসিইউতে শিশুটিকে দেখতে যান। হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালকসহ কর্মকর্তারা এরশাদের সঙ্গে ছিলেন।

পরে তারা গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুর মাকে দেখতে যান।

সেখান থেকে বেরিয়ে এরশাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শিশুটিকে দেখতে এসেছি। এ ঘটনা একটা নিষ্ঠুরতা বর্বতার। এ ধরনের ঘটনা মানুষ শুনলে গা শিউরে ওঠে।”

তিনি বলেন, “পত্রিকায় দেখলাম, গত তিন বছরে ৭৬৩ জন শিশুকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকারীদের বিচার সঠিকভাবে না করার কারণেই আজকে একের পর এক এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। বিচারের অভাবে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে চলছে। এ হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”

এরশাদ বলেন, “এ নির্মম ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, অনলাইনসহ গণমাধ্যমে দেখতে পেয়ে আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এ সরকারকে এ ঘটনার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট বিকেলে নগরীর টুটপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন শরীফ মটরস নামক একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে কিশোর রাকিবের পেটে কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ৩ আগস্ট নিহত রাকিবের পিতা নূরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার মা বিউটি বেগম ও সহযোগী মিন্টু খানকে আসামি করে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এইচ/এটিএস/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়