News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৫ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০৬:৪০, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

‘তাতে কার কী এসে যায়!’

‘তাতে কার কী এসে যায়!’

মাদারীপুর: জেলার কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী আ. জব্বারের বিরুদ্ধে অফিস টাইপে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি নিউজবাংলাদেশকে জানান, তিনি শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করেন, তাতে কার কী এসে যায়!

উপজেলার ইকরা কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সিডিখান এলাকাবাসী নিউজবাংলাদেশকে জানায়, সিডিখান ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ. জব্বার দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সকাল ৯-১১টা এবং বিকেল ৩-৬টা পর্যন্ত এ স্কুলে চাকরি করে আসছেন।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি চাকরি করা অবস্থায় তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বলে সরকারি সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।

সিডিখান এলাকার বাসিন্দা মো. মামুন সিপাহি, রেজাউল ফকির ও সাহাবুদ্দিন সরদার নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমরা ভূমি অফিসে গিয়ে কোনো দিন তাকে পাইনি।”

অভিযুক্ত শিক্ষক ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ. জব্বার নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “আমি সিডিখান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা। পাশাপাশি আমি স্থানীয় ইকরা কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষকতা করি।”

তিনি আরো বলেন, “এ স্কুলে আমি ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পড়াই। আমি শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করি। তাতে কার কী এসে যায়!”

ইউএনও হেমায়েত উদ্দিন নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “সরকারি চাকরি করা অবস্থায় বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিধান নেই। এজন্য সিডিখান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ. জব্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “এরই মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে দশ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়