মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ
সুমনের রিমান্ড শুনানি ৯ আগস্ট
মাগুরা: মাগুরায় ক্ষমতাসীন দলের দুগ্রুপের সহিংসতায় গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি সেন সুমন ও অপর ২ আসামি সাগর ও বাপ্পীকে আজ মঙ্গলবার মাগুরা ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে আনা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাউল হক জানান, আদালতে সোপর্দ ৩ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়। মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক ফারহা মামুন রোববার রিমান্ডের দিন ধার্য করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠান।
এর আগে সোমবার রাত ১১ টায় সেন সুমন, বাপ্পি ও সাগরকে মাগুরা ডবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সেন সুমনকে রোববার ঢাকার কল্যাণপুর থেকে র্যাব ৪ গ্রেফতার করেছিল। অন্যদিকে, মামলার ৭ এবং ৮ নম্বর আসামি বাপ্পী ও সাগরকে সোমবার বিকেলে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে সোমবার মাগুরা ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।
রোববার রাতে মাগুরার ওয়াপদা এলাকায় ঈগল পরিবহন থেকে গ্রেফতার ১৩ নম্বর আসামি নজরুলকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই রাতে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি সুমন কারিগর ও ১৪ সোবহানকে কারিকরকে সোমবার দপুরে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাদের ২ জনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত মোট ১৬ আসামির মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি ও র্যাব সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই শহরের দোয়ার পাড় এলাকায় যুবলীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন কামরুলের চাচা মমিন ভুইয়া। গর্ভস্থ শিশুসহ গুলিবিদ্ধ হন ভাবি নাজমা বেগম। নিহত মমিনের পুত্র রুবেল ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ১৬ জনের নামে হত্যাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








