‘অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা’ অবসরসুবিধা পাবেন না
ঢাকা: অবৈধ ও অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলকারী কোনো রাষ্ট্রপতি অবসরসুবিধা পাবেন না, এমন বিধান রেখে নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার সে আইনের (রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আইন, ২০১৫) খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আদালত ঘোষিত অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী রাষ্ট্রপতি অবসরভাতা (পেনশন), আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধার যোগ্য হবেন না। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে যে রাষ্ট্রপতি এ সুবিধা নেননি তাদের পরিবারও এর প্রাপ্য হবেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের শাসনামলকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেনশন সুবিধা নেননি। তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পেনশন নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালনের পর সরকারের তহবিল থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয় এমন কোনো পদে দায়িত্ব পালন করলে অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। নৈতিক স্খলন বা অন্য কোনো অপরাধে আদালতে দণ্ডিত হলেও কোনো রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা পাবেন না। এগুলো বিদ্যমান আইনেও রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার পেনশন পাবেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইন অনুযায়ী কোনো সাবেক রাষ্ট্রপতি পেনশন না নিলে তিনি তার যোগ্য হবেন। বঙ্গবন্ধু পেনশন গ্রহণ করেননি। তিনি পেনশন পাবেন। আমরা নতুন আইনে কিছু সংজ্ঞা যুক্ত করেছি। অবসরভাতা, গ্রাচুইটি বলতে কি বুঝায়, এগুলোও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পেনশন ধরা হয় মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ। মূল অধ্যাদেশে এ বিষয়ে সর্বনিম্ন টাকা সাতহাজার ৫০০ টাকা। ১৯৭৯ সালে যখন এ অধ্যাদেশ করা হয়েছে তখন রাষ্ট্রপতির বেতন ছিল ১০ হাজার টাকা। তখন এটার দরকার ছিল। এখন সর্বনিম্ন টাকার আবশ্যকতা নেই। এখন রাষ্ট্রপতির ৬১ হাজার ২০০ টাকা বেতন হিসেবে অবসর ভাতা হয় ৪৫ হাজার ৯০০ টাকা। গ্রাচুইটির ক্ষেত্রে নির্ধারিত অংকের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিরা যে কয় বছর দায়িত্ব পালন করেন সে অনুযায়ী ৮ দিয়ে গুণ দেওয়া হয়। কেউ যদি আট বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতেন তার ক্ষেত্রেও আট দিয়ে গুণ দেওয়া হতো। নতুন আইনে আট বছরের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে’।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড সংশোধন আইন, ২০১৫-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও তা অনুমোদন হয়নি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এফই/এজে/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








