লতিফের পদ বাতিল চেয়ে ইসিতে আ.লীগের চিঠি
বিতর্কিত মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় সদস্যপদ হারানো সাবেক ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইসিতে চিঠিটি পাঠান। ওই চিঠি পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চিঠিটি গ্রহণ করেন।
এ সময় মৃণাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, “লতিফ সিদ্দিকী আর আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি আইনগতভাবেই ওই অধিকার হারিয়েছেন।”
তিনি জানান, চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই, সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদেও তাকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দেন স্পিকার।
স্পিকারের চিঠি পেয়ে আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় ইসি। ওই ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার আজই ছিল শেষ দিন। এর আগে লতিফ সিদ্দিকীও তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইসিতে চিঠি দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা ও দল থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় অন্তত ২২টি মামলা হয়। দেশে ফিরে আসার পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২৯ জুন কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








