গত অর্থবছরে বেড়েছে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি
ঢাকা: ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকলেও বছর শেষে ২০১৩-১৪ বছরের চেয়ে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি উভয়ের পরিমানই বেড়েছে। গত অর্থবছরের থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলসি খোলা ২.৯৯ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি ৩.৪১ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উল্লেখিত অর্থবছরে ৪ হাজার ৩০৬ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমান এলসি খোলা হয়েছে। যা আগের বছর ছিল ৪ হাজার ১৮১ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার। আর নিষ্পত্তির পরিমান ৩.৪১ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারে। যা আগের বছরে ছিল ৩ হাজার ৭১৮ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।
এর মধ্যে ব্যাক টু ব্যাক এলসি বেড়েছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর নিষ্পত্তির হার বেড়েছে শুন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ৬২০ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরে খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমান ছিল ৬২৩ কোটি ৭৭ লাখ ও ৬১৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে খাদ্যপণ্য আমদানি বাড়লেও কমেছে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের আমদানিতে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমান। এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে ৩২ দশমিক ৮৬ ও ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমেছে। আর খাদ্যপণ্য আমাদনিতে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমান।
গত এক মাসের হিসেবে জুন মাস শেষে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তির হার উভয়ই বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৩৫২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার যা আগের মসে (মে) ছিল ৩৪৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। সে হিসেবে এক মাসে এলসি খোলা বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের মাসের চেয়ে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে জুনে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১২ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৪৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্যান্য মেশিনারীর জন্য এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি হয়েছে যথাক্রমে ১০ কোটি ২৯ লাখ ও ৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের।
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/এমএম/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








