সোনার দাম কমলো আবার
ঢাকা: বিশ্ববাজারে ধারাবাহিক দরপতনের মুখে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম কমেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে ভরিপ্রতি দাম একহাজার ২২৫ টাকা কমে ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকায় সোনা বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দরপতন পাঁচ বছরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থায় রয়েছে।
বাজুস সূত্রে জানা যায়, নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট প্রতিগ্রাম সোনার দাম তিনহাজার ৫৮০ টাকা হিসেবে প্রতিভরি ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতি ভরিতে কমানো হয়েছে একহাজার ২২৫ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতিগ্রাম সোনার দাম তিনহাজার ৪০০ টাকা হিসেবে প্রতিভরি ৩৯ হাজার ৬৫৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতিগ্রাম সোনার দাম দুইহাজার ৮৩০ টাকা হিসেবে প্রতিভরি ৩৩ হাজার ৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিগ্রাম স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৭৫ টাকা হিসেবে প্রতিভরি ২১ হাজার ৮৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে কমানো হয়েছে রূপার দামও। রুপার দাম প্রতিভরি ৮০ টাকা হিসেবে ২১ ক্যারেট (ক্যাডমিয়াম) রুপার দাম প্রতিভরি ৯৩৩ টাকা।
বিশ্ববাজারে হংকং, দুবাই, নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ সর্বত্র প্রায় একই রকম দাম থাকলেও দেশে দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুবাইয়ের মূল্যকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি।
গত বছর দেশের বাজারে ১৪ বারের মতো সোনার দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ে এ ধাতব পদার্থের (সোনা) দাম কমানো হয়েছে। তবে নতুন বছরে এসে গত ২১ জানুয়ারি একবার দাম বাড়ানো হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম দরপতনের বৃত্তে আটকে যায়। এরপর দেশের বাজারে ১০ মার্চ, ২২ জুলাই ও সর্বশেষ বুধবার সোনার দাম কমানো হয়।
এশিয়ার নগদ টাকার বাজারে (স্পট) বুধবার সোনার আউন্স প্রতি দাম ১১শ’ ডলারের নিচে নেমে আসে। ২০১০ সালের ২৬ মার্চের পর বুধবার সোনার ন্যূনতম দাম একহাজার ৮৬ ডলারের ঘরে এসে দাঁড়ায়।
এদিকে বিশ্ববাজার থেকে বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি হওয়ার পেছনে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতাদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা সোনা কিনতে পারছে না। প্রবাসি বাংলাদেশিদের কাছ থেকে সংগৃহীত সোনার দ্বারাই দেশীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। ফলে দেশে চাহিদার বিপরীতে প্রয়োজনীয় যোগান হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান বলেন, ‘সাধারণত বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও সোনার দাম ঠিক করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে।’
বিশ্ববাজারের সঙ্গে এখনও প্রায় সাতহাজার টাকার ফারাক রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পুরোপুরি নির্ভর করে দাম কমানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশে বৈধভাবে সোনা কেনার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম প্রতিদিন ওঠানামা করলেও আমরা করতে পারি না।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








