উজ্জ্বল কমলা রঙের পালকের জন্য ফ্লেমিঙ্গোরা সুন্দরতম পাখিদের মধ্যে অন্যতম। দেখতে কমলা বর্ণের হলেও এরা মূলত সাদা বর্ণের। জন্মের সময় এদের পালকের রং সাদা বর্ণের হয়। কিন্তু কিভাবে এরা কমলা রং ধারণ করে?
উজ্জ্বল কমলা রঙের পালকের জন্য ফ্লেমিঙ্গোরা সুন্দরতম পাখিদের মধ্যে অন্যতম। দেখতে কমলা বর্ণের হলেও এরা মূলত সাদা বর্ণের। জন্মের সময় এদের পালকের রং সাদা বর্ণের হয়। কিন্তু কিভাবে এরা কমলা রং ধারণ করে?
উজ্জ্বল কমলা রঙের পালকের জন্য ফ্লেমিঙ্গোরা সুন্দরতম পাখিদের মধ্যে অন্যতম। দেখতে কমলা বর্ণের হলেও এরা মূলত সাদা বর্ণের। জন্মের সময় এদের পালকের রং সাদা বর্ণের হয়। কিন্তু কিভাবে এরা কমলা রং ধারণ করে?
উত্তরটা হচ্ছে এদের খাদ্যাভ্যাস! ফ্লেমিঙ্গোরা সাধারণত সামুদ্রিক চিংড়ি এবং নিলাভ-সবুজ অ্যালজি খেয়ে থাকে, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ কমলা রঙের স্যান্থাজ্যান্থিন নামক প্রাকৃতিক রং থাকে। মূলত এই প্রাকৃতিক রঙের প্রভাবেই এরা উজ্জ্বল কমলা রং ধারণ করে।
চলুন এ পাখিটির সম্পর্কে আরো কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক-
এশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার অগভীর জলাভূমি, উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ জলাভূমি এবং বালুময় দ্বীপের তীরে এরা চড়ে বেড়াতে পছন্দ করে।
একটি প্রাপ্তবয়স্ক ফ্লেমিঙ্গো ৩.৩-৪.৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং ওজনে প্রায় ৪.৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত। এরা ৬০ কিমি বেগে একটানা প্রায় ৫০০ কিমি উড়ে নিজের বাসস্থানে পৌঁছাতে পারে।
এই সুন্দর পাখিটি তাদের জীবনের ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করে তাদের পালক পরিষ্কার করতে, কারণ এদের বিশেষ একটি গ্রন্থি থাকে যা থাকে তৈল নিঃসৃত হয় এবং ঠোঁটের মাধ্যমে তারা এই তৈলকে সর্বাঙ্গের পালকে ছড়িয়ে দেয়।
সাধারণত এই পাখিরা কলোনি হয়ে বসবাস করে। প্রতিটি কলোনি এতোটাই বড় হয় যে, অনেক সময় দশ লক্ষাধিক পাখি একই কলোনিতে বসবাস করতে দেখা যায়। বছরে মাত্র একটি ডিম দিয়ে থাকে। পুরুষ এবং নারী দুজন মিলেই ডিমে তা দেয় এবং ডিম থেকে বাচ্চা বের হাওয়ার সাথে সাথে নারী-পুরুষ যৌথভাবে বাচ্চাকে লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়।
ফ্লেমিঙ্গোদের জীবনের প্রথম দিকে বাঁকানো ঠোট থাকে না, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের ঠোঁট নিচের দিকে বেঁকে যেতে থাকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে ফ্লেমিঙ্গোরা প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।