News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২২ আগস্ট ২০১৯
আপডেট: ০১:১৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেড় বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন না ডাক্তার

দেড় বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন না ডাক্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার শামীমা হোসেন প্রায় দেড় বছর ধরে কর্মস্থলে আসেন না। এতে অত্র এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী প্রয়োজনীয় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডাক্তার না আসায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্ট রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১৯৬০ সালে অত্র এলাকার দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফতেপুর বাজারে চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে অত্র এলাকার মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেয়ে থাকেন। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে সরকার ফতেপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

নিয়ম অনুযায়ী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন এমএলএসএস কর্মরত থাকার কথা। এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে এমবিবিএস ডাক্তার শামীমা হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় দের বছর ধরে তিনি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এছাড়া এমএলএসএস পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুভাষ চন্দ্র তন্ত্রী ও ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদের। ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদেরও মাঝে মধ্যে অনুপস্থিত থাকেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘদিন ডাক্তার না আসায় জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রায়ই ফিরে যাচ্ছেন। এতে এলাকার মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়নকৃত ডাক্তার শামীমা হেসেন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেন না।

ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা ইব্রাহীম সিকদার বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার না থাকায় এলাকার দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জয়নাল মিয়া বলেন, ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির এখন করুণ দশা। কারণ এখানে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এমবিবিএস ডাক্তার আসেন না। যারা কর্মরত আছেন তাদেরও মাঝে মধ্যে অন্যত্র কাজ করানো হয়। এতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।

এদিকে, ডাক্তার শামীমা হোসেনের মুঠোফোনে কল দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কী সমস্যা? এই বলেই ফোন কেটে দেন ডাক্তার শামীমা।

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, আমি যোগদানের অনেক আগে সিভিল সার্জনের নির্দেশে ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ডাক্তার শামীমা হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে আছেন। এখানেও তিনি নিয়মিত আসেন না।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়