২ সপ্তাহে ভুঁড়ি কমানোর অব্যর্থ টিপস

সারাদিন ল্যাপটপে মুখ গুঁজে কাজ, ফাস্ট ফুডে কামড়, শারীরিক কসরতের অভাব! ফল? এই প্রজন্মর সিংহভাগের সঙ্গী বিশাল এক ভুঁড়ি! ভুঁড়ির চাপে স্বাভাবিক কাজকর্মে হাঁসফাঁস! তবে টেনশন করার কিছু নেই। ১৫ দিনের মধ্যে ভুঁড়ি কমাতে চাইলে নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন।
১টা কলা, ১টা কমলালেবু, অর্ধেক কাপ লো-ফ্যাট দই, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, সামান্য আদা, ২ টেবিল চামচ ফ্লাক্স সিড আর ২ টেবিল চামচ প্রোটিন ড্রিংক একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন দিনের কোনও একটা সময়ে, এই ড্রিংক খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভুঁড়ি কমতে শুরু করবে।
ঝটপট ভুঁড়ি কমতে চাইলে মসুর ডাল একেবারেই খাবেন না। ১০০ গ্রাম মসুর ডালে থাকে জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম, খনিজ ২.১ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ২৫.১ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, ক্যালশিয়ম ৬৯ মিলিগ্রাম, লোহা ৮.৪ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইকোগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম আর শর্করা ৫৯.০ গ্রাম। প্রোটিনে ভরপুর মুসুর ডালে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠিকই কিন্তু ভুঁড়ি বাড়াতেও এক্সপার্ট।
রোজ নিয়ম করে ১ চা চামচ গোটা জিরে খান। একদিনও বাদ দেবেন না। খাওয়া শুরু করার আগে ওজন লিখে রাখুন, ১৫ দিন বাদে ফের ওজন মাপুন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!
কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন কমে। জিরা যে শুধু চর্বি কমায়, তাই নয়! অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকেও শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে যাঁরা ভুঁড়ি কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা করে দেখুন! গবেষকরা বলছেন, জিরায় আছে 'থাইমল' যার কাজ হল- লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। ফলে, খাবার ভাল হজম হয়। এছাড়াও, জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভাল কাজ করে। হজমের গণ্ডগোল হলে জিরা দিয়ে চা খেতে পারেন। উপকার পাবেন। কিংবা, এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ জিরে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা করে দিনে তিনবার খান। হজমশক্তি বাড়বেই।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি