ফের ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে সাড়ে আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বুধবার ১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সকল নৌচলাচল বন্ধ থাকে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে দীর্ঘ সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া ও কাওড়াকান্দি থেকে পুনরায় নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপদ্মার একাধিক পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানাহন নিয়ে ভি আই পি বহনকারী ফেরি ক্যামেলিয়াসহ মোট সাতটি ফেরি নোঙরে ছিল।
অপরদিকে ফুললোড অবস্থায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দুটি ও কাওড়াকান্দি ঘাটে একটি ফেরিসহ মোট তিনটি ফেরি পন্টুনে ভেড়ানো থাকে। এতে করে সকালে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে প্রায় সাড়ে ছয়শ যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় থাকায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে নৌরুটের মাঝপদ্মায় ও ঘাটে ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকালে শিমুলিয়া ঘাটে সাড়ে পাঁচশত পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব মিলিয়ে সাড়ে ছয়শ যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার বাণিজ্য আ. আলিম।
বিআইডব্লিউটিসির সূত্রে আরো জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী
নৌরুটের নৌচলাচল। এতে করে চরম বিঘ্নিত হচ্ছে এ রুটের ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সকল নৌচলাচল। প্রকৃতির কাছে অসহায় পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা যেন নিত্য দুর্ভোগের সঙ্গী।
এদিকে গত শনিবার নৌরুটে দীর্ঘ পৌণে চার ঘণ্টা, শুক্রবার ছয় ঘণ্টাসহ প্রায় প্রতিদিনই ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল। এতে করে ফেরিঘাটে নিত্য যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে নৌরুটের মাঝপদ্মায় ও ঘাটে ঘাটে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো. শাজাহান ও ফেরি মাস্টার আবদুর রউফ জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল। নৌরুটের পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ সময় ফেরি চালকেরা নৌরুটের এক ফুট অদূরেও দিক-মার্কা ও সিগন্যাল বীকন বাতি নির্ণয় করতে পারছে না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।