শেখ হাসিনাই পৃথিবীর সেরা প্রধানমন্ত্রী: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, “সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে শেখ হাসিনা আজ উন্নয়নের নেত্রী, সততার নেত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থকলে বাংলাদেশ ভালো থাকে, দেশের মানুষ ভালো থাকে। তিনিই পৃথিবীর সেরা প্রধানমন্ত্রী।”
মঙ্গলবার রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ এবং এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার সুখে-দুঃখে সব সময় সব মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।”
তিনি বলেন, “আগামী বর্ষার আগেই রাজবাড়ী শহর রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে এবং আগামী বন্যায় যাতে এখানে নদীর তীর না ভাঙে সে লক্ষ্যে এপ্রিলের মধ্যেই আরও ৮ লাখ জিওব্যাগ ফেলা হবে।”
তিনি বলেন, “এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ লাখ ১৫ হাজার ব্লক তৈরি করা হবে এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার ব্লক তৈরি করা হবে।”
উপমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ২টি ড্রেজারের মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং আরও ৪টি নতুন ড্রেজার এ কার্যক্রমে সংযোজিত হবে।
এ বছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের অগ্রগতি ৫০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, যেখানেই অনিয়ম সংঘটিত হবে সেখানেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কর্মীর মতো কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান উপমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং প্রায় ৪.৭ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, সংকটপূর্ণ সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে স্থায়ী তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন, তীরবর্তী স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনাসমূহ রক্ষা, রাজবাড়ী শহর ও ফরিদপুর-বরিশাল এফসিডি প্রকল্প (রাজবাড়ী ইউনিট) পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
এই সময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি