দুই কোরিয়ার অসামরিক জোন অতিক্রম করল নারীরা
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার অসামরিক জোন (ডিমিলিটারাইজড জোন- ডিএমজেড) অতিক্রম করেছেন বিভিন্ন দেশের নারী অধিকার কর্মীদের একটি দল। রোববার ওই দলটি বাসযোগে সীমান্ত অতিক্রম করে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, শান্তি ও পুনর্মিলনের দাবিতে ১৫ টি দেশের ওই ৩০ নারী অধিকার কর্মী দুই কোরিয়োর মধ্যবর্তী সীমান্ত অতিক্রম করেন। তাদের মধ্যে দু’জন শান্তিতে নোবেলজয়ী নারী অধাকর কর্মীও ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
প্রথমে নারী অধিকার কর্মীর দলটি পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেও দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে বাসে করেই তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়।
অসামরিক জোন (ডিমিলিটারাইজড জোন-ডিএমজেড) হল দুই কোরীয় উপত্যকার মধ্যবর্তী সীমান্তরেখা। ৩৮ ডিগ্রি অক্ষাংশ ধরে চিহ্নিত এই সীমান্তরেখা একশ’ ৫০ কিলোমিটার লম্বা। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা অনুযায়ী ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা ধরে সীমানাচিহ্ন নির্ধারিত হয়। এই রেখার উত্তর প্রান্তের উপত্যকা উত্তর কোরিয়া আর দক্ষিণ দিকের উপত্যকা দক্ষিণ কোরিয়া।
আন্তর্জাতিক নারীদিবসে এবারের প্রতিপাদ্য শান্তি ও নিরস্ত্রীকরণ শ্লোগানকে তুলে ধরতেই দুই কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রমের সিদ্ধান্ত নেন ওই নারী অধিকার কর্মীরা। পদযাত্রার প্রথমাংশে নারী অধিকার কর্মীরা উত্তর কোরীয় সীমান্তে অসামরিক জোনে ব্যানারসহ অবস্থান নেন। এসময় তারা একসঙ্গে শান্তির জন্য গান গাইতে থাকেন। এর কিছু পরই উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে একটি দক্ষিণ কোরীয় বাস আসে তাদের নিয়ে যেতে।
অসামরিক জোনের মাঝে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা অতিক্রমের কিছু পরই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নারী অধিকার কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তারা নির্বিঘ্নে দক্ষিণ কোরীয় প্রান্তে পৌঁছান।
প্রথমে তারা ‘যুদ্ধবিরতি গ্রাম’ নামে পরিচিত পানমুনজম গ্রাম দিয়ে অসামরিক জোন অতিক্রমের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গ্রামটিতে দুই কোরিয়ার সেনাবাহিনী মাত্র কয়েক মিটার ব্যবধানে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু দুই কোরিয়ার কর্তৃপক্ষই পানমুনজম গ্রাম দিয়ে অতিক্রমের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অপারগতা জানায়। একারণে তারা পরবর্তীতে রুট পরিবর্তন করে বাসযোগে সীমান্ত অতিক্রমের সিদ্ধান্ত নেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম