ফুলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রফতানি উৎসাহিত করতে সরকার দেশের ফুলচাষী ও ফুল ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ফুল রফতানির ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনে নগদ আর্থিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, দেশের ২০টি জেলায় আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষ করে বিপুল পরিমান বিভিন্ন জাতের ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। দেশে উৎপাদিত এসব ফুল দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
বণিজ্যমন্ত্রী জানান, "বাংলাদেশে উৎপাদিত ফুল বর্তমানে সীমিত আকারে দুবাই, সৌদি আরব ও কাতারে রফতানি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরেও এখন প্রচুল ফুলের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।"
সচিবালয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাণিজ্যমন্ত্রী আগতদের এ সব বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ফুলচাষীগণ ফুল চাষের জন্য মূলধন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গবেষণাগার স্থাপন, ফুলের বীজ ও চারা সরবরাহ, অভ্যন্তরীন বাজারে সরবরাহে পাইকারী বাজারের অবকাঠামো নির্মাণ, স্থান নির্ধারণ, ফুল সংরক্ষণ এবং বিদেশের রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সমস্যাগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে ফুলের অনেক চাহিদা। আন্তর্জাতিক মানের ফুল বাংলাদেশে উৎপাদন সম্ভব।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে