ঢাকা: নিত্যপণ্য বাজারে পিঁয়াজ, রসুন ও ডালের দাম বেড়েছে। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ বাড়ছে পিঁয়াজের বাজার দর। অন্যদিকে ডাল এবং রসুনের মূল্য গত সপ্তাহে অপরিবর্তিত থাকলেও এ সপ্তাহে বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
পিঁয়াজের বাজার: রাজধানীর অধিকাংশ নিত্য পণ্য বাজারে প্রতি কেজি আমদানি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর দেশি পিঁয়াজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৪০ টাকা।
রসুনের বাজার: প্রতিকেজি আমদানি মানভেদে রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর গতমাসে একি সময়ে আমদানি রসুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। গেল বছর বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা করে। শতাংশ হিসেবে রসুনের এক মাসের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৩১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডালের বাজার: তুরস্ক, কানাডা থেকে আমদানিকৃত মাঝারি মানের প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, সপ্তাহ পূর্বে দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর নেপালি ডালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ পূর্বে এ ডালের দাম ছিল ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
চালের বাজার: নাজির, মিনিকেট-সাধারণ মানের প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা থেকে ৪৬ টাকায়। দুই সপ্তাহে পূর্বে বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৪৮ টাকায়। বাজারে উত্তম মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা থেকে ৫২ টাকায়, সাধারণ মানের পাইজাম বা লতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা থেকে ৪২ টাকায়, মোটা চাল স্বার্ণা বা চায়না ইরি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকায়।
চিনির বাজার: প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকা।
সয়াবিন তেল: বোতল সয়াবিন তেল প্রতি পাঁচ লিটার ৪৫০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকা, এক লিটার ৯৩ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম অয়েল লুজ প্রতি লিটার ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা, সুপার পাম অয়েল ৬২ টাকা থেকে ৬৪ টাকা।
ছোলা ও আদা: আদা মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়, এছাড়া প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
অন্যান্য পণ্য: আটা-ময়দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা আটার (সাদা) মূল্য প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, প্যাকেট আটার মূল্য প্রতি কেজি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা। খোলা ময়দা ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, প্যাকেট ময়দা প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।
মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি রসুন মানভেদে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, হলুদ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৯০ টাকা, আমদানিকৃত আদা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, জিরা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ধনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেজপাতা প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
মাছ ও মাংসের বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে এক হাজার, গরু মাংস প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৭০ টাকা, খাসি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২৫ টাকা।
প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের দাম এক কেজি ওজনের ডানো ৬৮০ টাকা, ডিপ্লোমা (নিউজিল্যান্ড) ৬৪০ টাকা, ফ্রেশ ৫১০ টাকা ও মার্কস ৫১০ টাকা।
এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/জেএস/এজে