জুনের প্রথম সপ্তাহে চালু হচ্ছে কসবার সীমান্তহাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কসবা উপজেলা সীমান্তে জুনের প্রথম সপ্তাহে চালু হচ্ছে সীমান্তহাট। ২০১৪ সালের ২১ মে এ হাটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে হাটের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে হাটের সিংহভাগ প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হওয়ায় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই এ হাট সীমান্তবাসীর জন্য খুলে দেয়া হবে।
সীমান্তহাট ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, উপেজলার তাঁরাপুর সীমান্তে বসবে দু’দেশের এ হাট। দুই দেশের যৌথ মালিকানাধীন (বাংলাদেশের ৬৯.৬৬ শতাংশ এবং ভারতের ৬৯.৬৬ শতাংশ) ভূমিতে ভারত সরকারের দুই কোটি ৪৪ লাখ রুপি ব্যয়ে ৫০টি দোকানঘর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। তিন মাসের মধ্যে হাটের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে এবার হাটের প্রায় সব কাজ শেষ হয়ে গেছে।
হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “এ হাটে বাংলাদেশের ২৫ জন ও ভারতের ২৫ জন ব্যবসায়ী নির্ধারিত পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত (চার ঘণ্টা) চলবে হাটের কার্যক্রম। হাটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।”
তিনি আরো বলেন, “হাটের আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হবে। প্রাথমিকভাবে হাটে একহাজার ক্রেতা পণ্য-সামগ্রী কিনতে পারবে। পর্যায়ক্রমে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে হাটে যাওয়ার আগে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অবশ্যই সীমান্তহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে পরিচয়পত্র বা পাসকার্ড সংগ্রহ করতে হবে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম