News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১১ এপ্রিল ২০১৫
আপডেট: ১১:০৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

‘রাষ্ট্রপতি প্রাণ দেওয়া-নেওয়ার কেউ না’

‘রাষ্ট্রপতি প্রাণ দেওয়া-নেওয়ার কেউ না’

ঢাকা: ‘রাষ্ট্রপতি প্রাণ দেওয়ারও কেউ না, প্রাণ নেওয়ারও কেউ না’ বলে মন্তব্য করেছেন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী।

শনিবার বিকেলে কামারুজ্জামানের সঙ্গে কারাগারে শেষ সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তার সাথে পরিবারের আরও ২৩ সদস্য কামারুজ্জামানের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে আসেন।

হাসান ইকবাল ওয়ামী নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “বাবার কাছে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছিলেন। কিন্তু ওনারা বাবার সাথে কোনো কথা বলেননি। উল্টো তারা অভিযোগ করেছেন যে, বাবা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন।”

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা বিষয়ে ওয়ামী বলেন, “রাষ্ট্রপতি প্রাণ দেওয়ারও কেউ না, প্রাণ নেওয়ারও কেউ না। প্রাণ দেওয়া-নেওয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ। সরকার নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার নামে কালক্ষেপণ করেছে।”

কামারুজ্জামানের বড় ভাই কফিল উদ্দীন বলেন, “দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন। তাকে আমরা বিদায় দিয়ে এসেছি। তিনি (কামারুজ্জামান) আমাদের বলেছেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার ছেলে এ বিষয়ে মিডিয়াকে পরবর্তীতে জানাবে।”

এর আগে শনিবার কারাকর্তৃপক্ষ বিকেল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে তাদের দেখা করতে বলেছিল।

তবে এজন্য কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়নি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দুপুর একটা ১০ মিনিটে কামারুজ্জামানের স্ত্রীর মোবাইলে ফোনটি করা হয় বলে জানান তিনি।

কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে আসা তার পরিবারের ২৪ সদস্যের মধ্যে তার বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী, ছোট ছেলে হাসান ইমাম ওয়াসী, স্ত্রী নূরুন্নাহার, মেয়ে আতিয়া নূর ছিলেন। তারা বিকেল চারটা ১০ মিনিটে ঢাকা মেট্রো চ-১৩৭৯১৭ এবং ঢাকা মেট্রো চ- ১৩৮৩৭৪ নম্বরের দুটি মাইক্রোবাসে করে কারাগারের প্রধান ফটকে নামেন।

কামারুজ্জামানের ৫ ছেলের মধ্যে তিন ছেলে দেশে এবং দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড এখন কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। শুক্রবার রাতে দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ওইদিন রাতে বলেছিলেন, “আগামীকাল (শনিবার) ফাঁসি হতে পারে।”

নিউজবাংলাদেশ.কমে/এনএএইচ/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়