বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রাজধানী দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রাজধানী দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা রাজধানী দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে এক নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেন মমতা।
গণহত্যার পর দিল্লিকাণ্ডকে দাঙ্গার চেহারা দেয়া হয়েছে, সাম্প্রদায়িক রঙ দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মসূচির সূচনামঞ্চেই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বলেন, দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।
তিনি বলেন, দিল্লিতে যা হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দিল্লিতে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণহত্যা হয়েছে। পরে দিল্লির কাণ্ডকে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক রঙ দেয়া হয়েছে।
‘তাই গত কয়েক দিন ধরে দিল্লির মাটিতে যেভাবে মানুষ হত্যা হয়েছে, এটি পরিকল্পিত গণহত্যা– এটি কোনো দাঙ্গা নয়। গণহত্যার পর তাকে দাঙ্গার চেহারা দেয়া হয়েছে।
মমতা বলেন, আমরা ধিক্কার জানাই দিল্লিতে যা ঘটেছে। দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকার বিদায় না নেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, বিজেপি প্ররোচনা দেবে, তবে সংঘাতে জড়ানো যাবে না। আইন হাতে তুলে না নিয়ে বিরোধিতা করতে হবে। দিল্লির সরকারের ঔদ্ধত্য যেন না শিখি।
প্রসঙ্গত দিল্লিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান।
নিহতদের মধ্যে ২১ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আহতদের মধ্যে অনেকে এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। দৃষ্টিশক্তিও পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে।