অন্ধদের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে ৫ স্থানে দুদকের অভিযান

খুলনায় অন্ধদের অর্থ আত্মসাৎ, নোয়াখালি বিআরটিএর সেবায় হয়রানি সহ নানান অনিয়মের দায়ে আজ দেশের ৫ স্থানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
সোমবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ১৪টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি অভিযান ও ৯ দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালি বিআরটিএর কার্যালয়ে নানাবিধ সেবা প্রদানে অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে আজ এ অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানকালে প্রাথমিকভাবে ছদ্মবেশে ওই কার্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দুদক টিম। মনির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির (৭০) হাতে লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি দুইজন দালাল (সুমন ও বাচ্চু) চক্রের নির্দেশে তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তার নিকট থাকা পকেট নোটবুকে ওই দালালদের ফোন নম্বর পায় টিম। দুদক টিমের তৎপরতা দেখে আশেপাশে থাকা ওই দালালেরা পালিয়ে যায়। দালালের ওই সহযোগীর নিকট হতে মুচলেকা নেয়া হয় এবং ভবিষ্যতে তিনি এরুপ অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন।
অন্ধদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তাদের মাঝে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। খুলনা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সমাজসেবা অধিদপ্তর, খুলনার অধীন “সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম”নামীয় প্রতিষ্ঠানে আজ এ অভিযান চালিয়েছে দুদক।
অভিযানে অভিযুক্ত রিসোর্স শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এছাড়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাময়িক সনদ প্রদানে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং খাজনা জমা ও নামজারি বাবদ ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, নোয়াখালী জেলা কার্যালয় ও পাবনা জেলা কার্যালয় হতে ৩টি পৃথক অভিযান চালায় দুদক।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস