কুমিল্লায় পাওনা টাকার জন্য কুপিয়ে খুন

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে মোক্তার হোসেন (৪০) নামের একজনকে হত্যা করেছে। এসময় হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের ছোট দুই ভাই ইমান হোসেন (৩০) ও খোকন (২৭)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত সন্দেহে ফরিদ ও সফিক নামের দুই জনকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির মৃত আব্দুল ওয়াহাবের পুত্র নিহত মোক্তারের ছোট ভাই খোকনের কাছে প্রতিবেশী ফিরোজ ওরফে কালা নামের এক ব্যক্তি ডেসটিনি নামের এমএলএম কোম্পানির সাথে লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় কিছু টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিরোজ ও তার ছেলে ইউছুফ নিহত মোক্তারসহ তার ভাই ইমান ও খোকনের কাছে টাকা দাবি করে আসছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে মোক্তার একটি বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করলে ফিরোজ গং বেপরোয়া হয়ে তাদের বাড়ির নির্মাণ কাজে একাধিকবার বাধাসহ ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ চলাকালীন সময়ে ফিরোজ ওরফে কালা ও তার ছেলে ইউসুফের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রসহ লাঠিসোঠা নিয়ে মোক্তারদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এসময় মোক্তার এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ ও লাঠিপেঠা করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীর হামলায় ছোট দুই ভাই ইমান ও খোকন গুরুতর আহত হয়। বাড়ির লোকজনদের আর্তচিৎকারে নামাজ শেষে মুসুল্লিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফিরোজ ও তার ছেলে ইউসুফের সহযোগী হিসেবে ছিল মৃত আলী হোসেনের ছেলে ইউসুফ, আনন্দপুর গ্রামের আলী আশ্রাফের ছেলে সুমন (৩০), মৃত আহাদ উদ্দিনের ছেলে সহিদ ওরফে ছোক্কা (৩৮), কালির বাজার রায়চৌ এলাকার শাহ আলমের ছেলে সহিদ (২৪), দীঘলগাঁও গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে শাহনাজ (২০), আনন্দপুর এলাকার ভাড়াটিয়া রিয়াদ (২৬), মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে কামাল (৫০) সন্ত্রাসী হামলার সময় উপস্থিত ছিল।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে ময়নামতি ফাঁড়ির আইসি ইন্সপেক্টর শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেলসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারী ফিরোজের আত্মীয় ফরিদ (৫৫) ও সফিক নামের দু’জনকে আটক করেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ