সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে ৪ বাংলাদেশি নিহত
ফাইল ফটো
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দুয়ারপাল গ্রামের নিতপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বিষুপুর দিঘীপাড়া পোরশা এলাকার মৃত খোদা বক্সের ছেলে মফিজ উদ্দিন, বিষুপুর বিজলী পাড়া এলাকার শুকড়া উড়াওয়ের ছেলে সনজিত উড়াও (২৪), বিষুপুর কাটাপুকুর এলাকার মৃত জন্নুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (২০)।
এছাড়া, যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট সীমান্তে বুধবার হানেফ আলী খোকা (৩৫) নামে এক গরুর রাখাল বিএসএফ এর নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। নিহত হানেফ আলী শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
নিহত হানেফ আলীর চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, ভারতের বন্যা বাড়ীয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বুধবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা জানতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তের ২৩১/১০-এস মেইন পিলার এলাকা দিয়ে গরু আনতে ভারতের অভ্যন্তরে যায় বেশ কয়েকজন। তখন তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে ১৫৯ বিএসএফ’র কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
পোরশা উপজেলার ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ১৪/১৫ জনের একটি গরু ব্যবসায়ীর দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গরু আনতে যান।
ভোর ৬টার দিকে ভারতের ১৫৯ বিএসএফ ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান বলে জানান তিনি।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, মফিজ উদ্দিনের লাশ বাংলদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সন্দিপ কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির সিও লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা পর পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।




