সিরিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের শক্তি খর্ব করতে এবং তাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে তাড়াতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।
প্রথম ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফের অবস্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
রাতভর সীমান্তে বিপুল সংখ্যায় সৈন্য সমাবেশ এবং সাঁজোয়া যান জড়ো করে তুরস্ক।
তুরস্কের সৈন্যদের সাথে জড় হয় তাদের সমর্থিত সিরিয়ান আরবদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কয়েক হাজার মিলিশিয়া।
বুধবার দুপুরের পরপরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান 'অপারেশন পিস স্প্রিং' নামে সেনা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।
টুইটারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, "আমাদের দক্ষিণ সীমান্তে সন্ত্রাসের একটি করিডোর যাতে তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তুরস্কের এই অভিযানের উদ্দেশ্য।"
মার্কিন সবুজ সংকেত পেয়েই সিরিয়ায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন প্রসিডেন্ট এরদোয়ান। এরপর সিরিয়ার কিছু এলাকা থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়।
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফকে তুরস্ক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করে। তুরস্কের ভয়, এসডিএফ তুরস্কের অভ্যন্তরে তৎপর কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিচ্ছে।
তুরস্ক ৪৮০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত একটি 'সেফ জোন' বা নিরাপদ এলাকা তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
কুর্দি মিলিশিয়াদের তাড়িয়ে এই 'সেফ জোনে' তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ৩৫ লাখের মত সিরিয় শরণার্থীকে পুনর্বাসন করতে চান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এ অবস্থায় কুর্দি বিদ্রোহীরা প্রতিরোধের ডাক দিলেও তাদের পাশ থেকে সরে গেছে মার্কিন সেনারা। অর্থাৎ যেসব এলাকায় তুরস্কের সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে, সেইসব এলাকা থেকেই সরে গেছে মার্কিন সেনারা। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে কুর্র্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফ।
তারা বলেছে, আইএসকে পরাজিত করতে এতদিন কুর্দিদের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের 'পিঠে ছুরি মেরেছে'।