বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক মটর মেকানিকের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার
যশোর: তেল-মবিল ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কার করলেন মটরসাইকেল মেকানিক মিজান। এ যন্ত্র দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সহজেই চালানো যাবে সেচ পাম্প।
স্বয়ংক্রিয় এ যন্ত্র তৈরির উপাদানগুলো হচ্ছে, ৪৮ ভোল্টের একটি চার্জার ব্যাটারি, ডিসি মটর, একটি ব্যাটারি চার্জার, বড় ধরনের একটি ফ্লাই হুইল চাকা, মেশিনের প্লু ফিতা, একটি ট্রান্সফারমার, ক্যাপাসিটর, বিদ্যুৎ ভোল্ট পরিমাপক মিটার, মটরছাড়া পানির পাম্প ও দুটি জেনারেটর। যন্ত্রটি তৈরিতে খরচ পড়বে ৫০-৬০ হাজার টাকা।
স্বল্প শিক্ষিত মিজান ৮২ সালে সর্বপ্রথম তেল-মবিল ছাড়াই ইঞ্জিন আবিষ্কারের স্বপ্ন দেখেন। নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায় তিনি তার স্বপ্ন সফল করেন। এরপর জ্বালানি সাশ্রয়ী মটরগাড়িসহ নানা ধরনের ইঞ্জিন চালিত যান, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, অগ্নি প্রতিরোধক জ্যাকেট ও স্বয়ংক্রিয় ফিতা কাটার যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
বিজ্ঞানী মিজান এখোনেই থেমে থাকেননি। বর্তমানে তিনি স্বয়ংক্রিয় ননটার্চ টিউবঅয়েল প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাতাল থেকে পানি তুলে দেবে। প্রয়োজন শেষ হলে সুইচ টিপলেই পানি উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে টাকার অভাবে তার পরিকল্পিত অনেক যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করতে পারছেন না বলে নিউজবাংলাদেশকে জানান।
তার আবিষ্ককারগুলো কয়েকটি বিজ্ঞান মেলায় পুরস্কৃত হয়েছে। স্বীকৃত হিসাবে পেয়েছেন সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও অল্প কিছু টাকা।
মিজানের স্বয়ংক্রিয় বিদ্যুৎ ও সেচ যন্ত্র ২০১৬ সালের ডিজিটাল মেলায় শ্রেষ্ঠতম স্থান দখল করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে স্বয়ক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, অগ্নি প্রতিরোধক জ্যাকেট ও স্বয়ংক্রিয় ফিতা কাটা কাঁচি ৩৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কৃত হয়।
মিজানের আবিষ্কার দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক তার শার্শা উপজেলা চত্তরে অবস্থিত ছোট্ট মটর গ্যারেজে ভিড় করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








